যেভাবে দেশ ছে’ড়েছেন আনভীরের স্ত্রী-পরিবারসহ ৮ জন

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও গৃহকর্মীসহ আট জন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশ ছেড়েছেন। তারা বৈ’ধ কাগজপত্র নিয়েই দেশের বাইরে গেছেন।আলাপকালে এভিয়েশন সি’কিউরিটির (এভিএসইসি) এক শীর্ষ কর্মক’র্তা জানান, চার্টার্ড বিমানটি আজ সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নাম প্র’কাশে অ’নিচ্ছুক এই কর্মক’র্তা বলেন, সায়েম সোবহানের পরিবারের আট সদস্য বৈধ কাগজপত্র নিয়েই দেশের বাইরে গেছেন। তিনি আরও জানান, ছয় ডানার বেসরকারি জেট বিমানটি রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।এটি পরিচালনা করে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্কু সলিউশন লিমিটেড।

তিনি আরও বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর যেন দেশ ছাড়তে না পারেন সে জন্য নি’রাপত্তা ও অভিবাসন কর্মক’র্তারা সজাগ ছিলেন।এক নথি থেকে জানা যায় ওই ফ্লাইটে ছিলেন, সাবরিনা সোবহান, আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান, আরিশা আফরোজ সোবহান, ঈয়াশা সোবহান, রানিয়া আফরোজ সোবহান, ডিয়ানা হেরনানদেজ কাকানানদো, মোহাম্ম’দ কাদের মীর এবং হোসনেআরা খাতুন।

এই আট জনের মধ্যে ডিয়ানা হেরনানদেজ কাকানানদো, মোহাম্ম’দ কাদের মীর এবং হোসনেআরা খাতুন তাদের পরিবারের গৃহকর্মী বলে জানা গেছে।সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্ম’দ মফিদুর রহমান বলেন, তারা একটি বিশেষ ফ্লাইটের অ’নুমতি নিয়েছেন। বাংলাদেশ পু’লিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ছাড়পত্র পাওয়ার পর চার্টার্ড ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার থেকে তারা বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি চাইছিলেন। অপর একটি সূত্র জানায়, এই ফ্লাইটে সায়েম সোবহান আনভীর যাওয়ার জন্য তৎপরতা চালালোও আ’দালতের নি’ষেধাজ্ঞা থাকায় ব্য’র্থ হন।

মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ বলেন, মুনিয়া ঢাকায় এসে একটি না’রী হোস্টেলে থাকত। মুনিয়ার একাধিক আত্মীয় বলেন, এ সময় তার বড় বোন নুসরাতের উৎসাহে ও জনৈক হিরু মিয়ার মাধ্যমে শোবিজ জগতে যাতায়াত শুরু হয় মুনিয়ার। তার স’ঙ্গে প’রিচয় হয় সিনেমার একজন পরিচিত নায়কের।

এছাড়া একজন পরিচালক তাকে নায়িকা বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে নিয়ে যান। তবে মুনিয়ার ভাই সবুজ দা’বি করেন, শুরু থেকেই এসব অ’পছন্দ করতেন তিনি। কুমিল্লায় একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানিতে সেলসম্যানের চাকরি করা সবুজ জানতেন না মুনিয়া কোথায় থাকে, কী করে।

এমনকি তার মৃ’ত্যুর খ’বরও শুরুতে সবুজকে দেওয়া হয়নি বলে দা’বি করেন তিনি। তিনি জানতে পারেন প’রিচিতজনের মাধ্যমে। পরে তিনি নুসরাতকে ফোন দেন বিস্তারিত জানার জন্য। সবুজ বলেন, ওই সময়ও নুসরাত অনেক ত’থ্যই গো’পন করে আমার কাছে।

সবুজ বলেন, ‘আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির সমান ভাগ নিয়ে নুসরাত আমি, আমার চাচা, চাচিসহ কয়েকজনকে আ’সামি করে মা’মলা করে। মা’মলার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নুসরাত ও মুনিয়ার স’ঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়। ওই মা’মলা এখনো শে’ষ হয়নি। তবে স’মাধানের চে’ষ্টা চলছে।’

মুনিয়া নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় শুভপুরের নিলয় নামে এক যুবকের স’ঙ্গে পা’লানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ বলেন, ‘তখন মুনিয়ার বয়স ছিল কম। সে আবেগে পড়ে ভু’ল করেছে। আমরা পরে সামাজিকভাবে সেটার স’মাধান করেছি।

সবুজ জানান, তার বাবা মু’ক্তিযো’দ্ধা শফিকুল ইস’লাম মা’রা যান ২০১৫ সালে আর মা মা’রা যান ২০১৯ সালে। এরপর থেকে মুনিয়া সম্পূর্ণভাবে নুসরাত ও তার স্বামীর নিয়’ন্ত্রণে ছিল। ছোট বোনের এ প’রিণতির জন্য সবুজ নিজেও তার বোন নুসরাত ও তার স্বামীকে দা’য়ী করেন।

সুবজ বলেন, ‘সেলিম চাচা আমাদের পরিবারের অভিভাবক। ছোট চাচা সাজ্জাদ অ’সুস্থ। আমরা যা করার সেলিম চাচার পরামর্শেই করব।’ মুনিয়ার আ’ত্মীয়রা বলছেন, বাবা-মার মৃ’ত্যুর পর এই বোন-ভগ্নিপতিই ছিলেন মুনিয়ার একমাত্র অভিভাবক। টাকার লো’ভে তারা মুনিয়ার জীবন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন সেটা একবার জানারও চে’ষ্টা করেননি।